৮ মার্চ ২০২০ যখন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়লো,
তখন মানুষ ভয় পেয়েছিলো।
রাস্তায় তেমন বের হয় নি মানুষ।
আজ ১১ মে ২০২০, আক্রান্তের ৬৪ তম দিনে চিত্র আলাদা।
১০৩৪ জন আক্রান্ত এবং ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আমাদের মধ্যে ন্যুনতম ভয়ের চিত্র নেই।
যাই হোক, ভয় পেতেই হবে এমন কিছু না।
করোনায় প্রথম যেদিন দেশ মৃত্যু দেখেছিলো অর্থাৎ ১৮ মার্চ ২০২০,;
সেদিন আমরা যতো আতঙ্কিত হয়েছিলাম,
আজ ৫৪ তম দিনে ১১ জনের মৃত্যু দেখে ততোটা ভীতু নই।
মৃত্যুকে আস্তে আস্তে আমরা মানিয়ে নিচ্ছি, যেনো সহজ কোনো বিষয়।
আসলেই তো সহজ। জন্মেছি, মৃত্যু হবেই।
আমার ধারণা, দেশের অন্তত ২০-৪০% করোনায় আক্রান্ত হবো আমরা।
কারণ, আমরা সচেতন না।
একমাত্র রাব্বুল আলামিন জানেন, কি হবে!
আমরা কে কারে হারাবো, নিজেরাই জানি না।
কারণ আক্রান্ত যে কোনো সময়ই আমরা হতে পারি।
এখন ঘরে থাকলেও সম্ভাবনা আছে।
কারণ কোনো না কোনো ভাবে মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ স্পর্শ আমাদেরকে হাতছানি দেয়।
যখন ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন আপনি আর উৎস খুঁজে পাবেন না।
কারণ; তখন দরজার হাতলও নিরাপদ নয়।
চাবির রিং ও নিরাপদ নয়।
ঘরের মেঝেও নিরাপদ নয়।
আপনি কি করবেন?
আক্রান্ত হবার মানসিকতা নিতে হবে।
ফাইট করতে হবে করোনার সাথে।
সেই মানসিক শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।
যখন আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন;
তখন অনেকটাই সহজ হয়ে যায় অনেক কিছু।
একজন ক্যান্সার রোগীকে যখন ডাক্তার বলে দেন যে--
হয়তো ২ মাস বেঁচে থাকবেন,
তখন রোগীটি নিজের মনকে বোঝাতে থাকে।
এটাই নিয়তি।
হায়াতের জিন্দেগী ছিলো এই পর্যন্তই।
তখন সে সব কিছু থেকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নেয়।
সবার কাছ থেকে এক পর্যায়ে বিদায় নেয়।
ক্ষমা চায়।
যদি এর চেয়ে বেশি বেঁচে যায়, তাহলে সে আরও মনোবল বাড়াতে থাকে।
সে ভাবে যে আশার চেয়ে সে বেশিদিন পৃথিবীতে বেঁচে যাচ্ছে।
একসময় সে মনে করে, তাহলে সে হয়তো আরও কিছু দিন বা আরও কিছু বছর বাঁচতে পারে।
এভাবে আমরা যদি ভাবি, আমাদের মৃত্যু তো করোনার আগেও হতে পারতো। আল্লাহ আমাদের যে হায়াত দিয়েছেন তাতেই সন্তেষ্টু থাকতে হবে।
তাহলে দেখবেন; মনোবল বহুলাংশে বেড়ে গেছে।
যাই হোক, সবার জন্য শুভ কামনা
জানানো ছাড়া আর কিছুই দেখছি না।
সামনে প্রতিদিন ১০০ মৃত্যু দেখতে আমরা প্রস্তুত আছি।
একসময় হয়তো ৩০০, ৫০০, ১০০০ হবে।
তবুও প্রস্তুত আছি।
আক্রান্তের সংখ্যা হয়তো প্রতিদিন ২০০০০ ও হতে পারে।
অবাক হবো না।
কারণ আমেরিকারা মেনে নিয়েছে।
স্পেন, ইতালী, জার্মানী, ইংল্যান্ড, ফ্র্যান্স মেনে নিয়েছে।
আমরাও মেনে নিবো।
রবীন্দ্রনাথের কথা দিয়েই শেষ করতে চাই--
"মেনে নেওয়া এবং মনে নেওয়ার মধ্যে তফাৎ আছে।"
মেনে নেবেন না কি মনে নেবেন, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।
ভালো থাকো বাংলাদেশ।
সুখে থাকো তুমি।