লক ডাউনে অতিথি পশু পাখীর প্রতি মানবিক হোন

দেশের তথা সারা বিশ্বের মানুষ যেখানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, সেখানে পশু-পাখীও নিশ্চই বাদ যাবে না। কারণ এই পশু-পাখীর খাদ্য নিরাপত্তার সাথেও আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

পশু পাখীরা তো প্রতিবাদ জানাতে পারে না! তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে ভাইরাল হতে পারে না। তাদের ঘরে খাবার নেই বলে সরকারী সাহায্য চাইতে পারে না।

তারা ইচ্ছা করলেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারে না।

তারা ইচ্ছা করলেই শাহবাগে শ্লোগান দিতে পারে না।

যে পাখীটা আপনার বারান্দায় এসে বসেছে, তাকে আপ্যায়ন করতে না পারলেও তাড়িয়ে দেবেন না।

আপনি চাইলে কিছু চাল-ডাল বা অন্য কোনো খাদ্য শস্য বারান্দার একটি কর্ণারে রাখতে পারেন।

আপনি চাইলে বাড়ির ছাদে বিভিন্ন জায়গায় খাদ্যশস্য রাখতে পারেন।

পানির সুব্যবস্থা করতে পারেন। পাখীরা অনেক সময় উড়ে উড়ে ক্লান্ত হয়।

অনেকসময় দ্রুত পানির সন্ধান পায় না। এজন্য বাড়ির বারান্দায়/ছাদে অনেক সময় আশ্রয় নেয়।

খাবার সন্ধান করতে থাকে। তাদের প্রতিও মানবিক হোন।

তারাও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, পৃথিবীর অতিথি।

পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক, ভালো থাকুক এই লক ডাউনে।