ঢাকা হতে পারে ফাঁকা!
ঢাকা হতে পারে ফাঁকা!
টাইটেল দেখেই কি ঘাবড়ে গেলেন!
ঘাবড়ানোরই কথা।৩০-৪০ % ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।
আবার কেউ কেউ সিজনাল ব্যবসা (করোনা/ফলমূল/তরকারি)শুরু করেছে।
বেশিরভাগ মৌসুমী ব্যবসাই অসফল হবে। কারণ বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কিন্তু হুজুগে শুরু করেছে।
আরেকজন ফেসবুকে এড দিয়েছে, তাই দেখে অনেকেই নেমে গেছে।
আপনি ইচ্ছা করলেই রাতারাতি একটা ব্যবসাকে রপ্ত করতে পারবেন না।
শুরু করতে পারবেন, কিন্তু সেটাকে চালিয়ে নেওয়া এতো সহজ নয় কিন্তু।
তার মানে হলো, মোটামুটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ ৬০-৭০% করোনাকালীন নষ্ট হয়েছে।
আর যারা শিল্প উদ্যোগ নিয়ে বসে আছে, তাদের কলকারখানার সাভাবিক খরচই উঠছে না।
লোনের কিস্তি দেওয়াটাও তাদের জন্য সমস্যা। এভাবে চলতে থাকলে বড় বড় উদ্যোগগুলোকে চালিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও তাদের নেই। তারা ঋণখেলাপী হবে খুব শীঘ্রই। কর্মী ছাটাই হবে। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সামনের মাসগুলোতে চরমে পৌছাবে।
অনেকের চাকরি নেই। যাদের চাকরি আছে, তাদের বেতন ৫০-৬০% কর্তন করা হচ্ছে।
তাছাড়া মালিকদের কোনো উপায়ও নেই। বায়াররা একের পর এক অর্ডার ক্যানসেল করছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেম দারুণভাবে ধ্বসে পড়বে।
ঢাকার ৫০% বাড়িতেই এখন To-let!
এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।
চাকরি হারানো মানুষ নিশ্চই ঢাকায় টিকে থাকতে পারবে না।
এদিকে বাড়ি/অফিস মালিকগণ করোনার সময়ে বাড়ি ভাড়াও কমায় নি কিংবা উদারতা দেখায় নি। যার কারণে অনেক ভাড়াটিয়া চলে গেছে বাড়ি ছেড়ে। এখন এইসব মালিকরা বেশ কয়েক মাস বাড়ি ভাড়া আর পাবে না। অথচ তারা যদি ৫০% ও ছাড় দিতো তাহলে এই দুর্যোগে অনেকেই হয়তো টিকে যেতো। তাদের বাড়িও পড়ে থাকতো না। কারও ক্ষেত্রে এমন হবে যে, ১ লক্ষ টাকা ছাড় দিতে পারে নি কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা আয় থেকে হয়তো কেউ কেউ বঞ্চিত হবে। যেসকল মধ্যবিত্তের আয় ছিলো মাসিক ৫০ হাজার টাকা। তাদের এখন আয় হচ্ছে হয়তো ২০-২৫ হাজার টাকা। ১৫ হাজার টাকার ফ্ল্যাটে তারা এখন কিভাবে থাকবে? ইউটিলিটি বিল, সন্তানদের পিছনে খরচ, বাজার-নিত্যদিনের খরচ ও অন্যান্য বিল তো আছেই!
তাদের বর্তমান আয়ে কিভাবে ঢাকায় বসবাস করবে? বেতন দিয়ে যদি শুধু বাসা ভাড়া দিতে হয়, তাহলে তারা খাবে কি? করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে হয়তো আমরা একটি নিরব ঘাতক দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছি। ইউনিসেফ এর একটা গবেষণায় এসেছে, আগামী ৬ মাসে হয়তো ৫ বছরের কম বয়সী ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।কারণ; টিকাদান কর্মসূচী দারুণভাবে ব্যহত হচ্ছে এই দুর্যোগকালীন সময়ে। ফলে শিশু মৃত্যুহার বাড়ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। কারণ তাদের অনেক পণ্যই ছিলো রাজধানীমূখী। সুতরাং রাজধানী ফাঁকা হবার সাথে সাথেই পণ্যের চাহিদা কমে যাচ্ছে। দামও হৃাস পাচ্ছে। ৩০-৪০% সকল সবজির দাম কমেছে রাজধানীতে। এক কথায়, ঢাকা ফাঁকা হতে যা কিছু লাগবে, তার বেশ কিছু লক্ষণ ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। বাকিটা সময়ই বলে দিবে।